ঢাকা সোমবার, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫শে ভাদ্র ১৪৩১


ওমর ফারুক সোহাগ

ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব


ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব

মাতৃভাষার গুরুত্ব সম্পর্কে হযরত ইবরাহীম (আ.) বলেন -জ্ঞানীদের উচিৎ তাঁরা ভাষা ও সাহিত্যের সংরক্ষণ করা। বিশ্বস্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ট সৃষ্টি মানুষ, সেই মানুষ বা আদম সন্তান মনের ভাব প্রকাশ ও বিনিময়ের যে ধ্বনি মাধ্যম ব্যবহার করে তাকে আমরা ভাষা বলি।

আর মানুষের চিন্তা, চেতনা, আনন্দ-বেদনা, আশা-আকাঙ্খা প্রকাশ করে তার মাতৃভাষার মাধ্যমে। ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষা মানব জাতির জন্য মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন স্বজাতির ভাষাভাষি করে। প্রত্যেক মানুষের কাছে তার মাতৃভাষা সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহ পাক বলেন-"আর তার নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আকাশ মণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণবৈচিত্র।" (সুরা রুম, আয়াত ২২)।

মহান আল্লাহ তায়ালার সর্বশেষ কিতাব হলো আল কুরআন যা হযরত মুহাম্মদ (স.) এর উম্মতের উপর আরবি ভাষায় নাযিল হয়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মাতৃভাষা ছিল আরবি। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন -"এই কোরআন তো বিশ্ব জাহানের পালনকর্তার কাছ থেকে অবতীর্ণ। বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছেন আপনার অন্তরে যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শন কারিদের অর্ন্তভুক্ত হন সুস্পষ্ট আরবি ভাষায়। (সূরা আশ-শুরা আয়াত ১৯২, ১৯৩, ১৯৪, ১৯৫)। অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে -"যদি আমি একে কোন ভিন্নভাষির প্রতি অবতীর্ন করতাম, অতঃপর তিনি তা তাদের পাঠ করতেন, তবে তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করতো না। (সূরা আশ-শুরা আয়াত, ১৯৮, ১৯৯) ।

কোরান হাদীস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ইসলাম মাতৃভাষার প্রতি যথার্থ গুরুত্বারোপ করেছে। ইসলাম মাতৃভাষাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেছে। তাই দেখা যায় মহান আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে পথহারা মানুষকে সুপথে পরিচালনা করার জন্য অসংখ্য নবী ও রাসুলকে আসমানি কিতাবসহ তাদের স্বজাতির ভাষায় প্রেরণ করেছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন- "আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষি করে প্রেরণ করেছি , যেন তাঁরা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে সুস্পষ্ট ভাবে ব্যখ্যা করতে পারে। (সূরা ইবরাহীম আয়াত ৪) ।

ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার উপর কথা বলা রাসুল (স.) এর সুন্নত। তিনি তাঁর মাতৃভাষায় কথা বলতেন এবং ভালোবাসতেন. সুতরাং আসুন, আমরা মাতৃ ভাষাকে ভালোবাসি। ভালোবাসি দেশ, মাটি ও মানুষকে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top